প্রকাশিত: Tue, Apr 11, 2023 9:28 AM
আপডেট: Fri, Jun 27, 2025 1:54 AM

শুধু উৎসবে ব্যস্ততা বাড়ে, বগুড়ার বেনারসি পল্লীতে অর্ধশত তাঁত কারখানা বন্ধ

আইনুর ইসলাম: বিভিন্ন ডিজাইনের বেনারশি শাড়ি তৈরির কাজে ব্যস্ত বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ঘোলাগাড়ি কলোনি বেনারশি পল্লীর তাঁতের মেশিনের খুঁটখাট শব্দে মুখরিত কারিগররা। বেনারসি পল্লীতে  গিয়ে যায় , ঈদ সামনে রেখে নারীদের নতুন কাপড়ের যোগান দিতে তাতের খটখট শব্দে মুখরিত হচ্ছে। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত  চলছে শাড়ি বুননের শেষ কাজ। 

এই পল্লীতে তৈরি হচ্ছে বেনারসি বুটিক, টাইটাকি পার আঁচল, জামদানি, ব্রকেট, কাতান, কাতান বুটিক, পাটি নামের বাহারি ডিজাইনের শাড়ি।

পাইকারি দর হিসেবে প্রতিটি রেশমি সুতোয় তৈরি শাড়ির দাম পড়ে ৯ থেকে ১০, বেনারসি বুটিক ২ থেকে আড়াই, জামদানি ৪ থেকে সাড়ে ৪হাজার , ব্রকেট সাড়ে ৩ থেকে ৪, কাতান ৪ থেকে সাড়ে ৪, কাতান বুটিক সাড়ে ৩ থেকে ৪, পাটি ৫ থেকে সাড়ে ৫, টাইটানিক ১ থেকে আড়াই, পার আঁচল দেড় থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে দেশীয় কাতান এবং জামদানি শাড়ি ১৮ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা দামের শাড়ি তৈরি হয় বেনারসি পল্লীতে। তবে এসব শাড়ি ক্রয়ে প্রধান ক্রেতারা হলো রাজধানী ঢাকার মিরপুরে ব্যবসায়ীরা।

তাঁত মালিক খোরশেদ বলেন,তার বাড়িতে ৬টি তাঁতে ১০ জন কাজ করে। কিন্তু ভারতের শাড়ি দেশের বাজারে আসায় তাদের শাড়ির চাহিদা অনেকটা কমে গেছে। 

এলাকার স্থানীয় ব্যক্তি আহম্মদ আলী জানান, দেড় বছর ধরে কাজ না থাকায় তার তিনটি তাঁত বন্ধ হয়ে গেছে। তিনিও বেকার বসে আছেন। গত ৫ বছরে এখানকার কমপক্ষে ৫০টি তাঁত বন্ধ হয়ে গেছে। 

বেনারসি শাড়ি তৈরির কারিগর রফিক, জাবির হোসেন, খোরশেদ আলমসহ  কয়েকজন জানান, এ শিল্প টিকে রাখতে কাঁচামালের মূল্য হ্রাস, ভারতীয় শাড়ির অবাধ অনুপ্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকতে হবে।  সম্পাদনা : মুরাদ হাসান